এম আবুহেনা সাগর,নিজস্ব প্রতিবেদক :: দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে শীতে বেড়াতে আসতে শুরু করে অতিথি পাখি। নানা জলাশয়-খাল-বিল-নদী ও বঙ্গোপসাগর উপকূলে এসব পাখি আশ্রয় নিচ্ছে। হরেক রকমের প্রজাতির পাখির কলকাকলিতে মুখরিত ঈদগাঁওর উপকূলীয় অঞ্চল। তবে শিকারীদের দৃষ্টি আর পরিবেশ দূষণের কারণে অতিথি পাখি এ জনপদে আগমন অনেক টা কমে আসছে বলে মন্তব্য প্রবীন ব্যাক্তিদের। এসব পাখি শীতের শুরুতে এখানে আসতে শুরু করে। দুরদূরান্ত থেকে বেড়াতে আসা পাখির কিচিরমিচির ডাকে মুখরিত ঈদগাঁও এলাকা। পাখির উড়া উড়ি,কলকাকলি আর কিচিরমিচির ডাক আসলেই মন জুড়েই যায়।উপকূলীয় এলাকার পাখিপ্রিয় যুবকরা জানান, প্রতিবছরের ধারায় এ বছরও পাখির কলকাকলিতে মুখর হয়ে ওঠতে শুরু করছে উপকূলীয় এলাকা জুড়ে। অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারলে এসব জায়গা হতে পারে পাখির বড় অভয়াশ্রম। ২৯ নভেম্বর পড়ন্ত বিকেলে ছৌফলদন্ডী ব্রীজের পাশ্বর্বতী স্থানে অতিথি পাখির উড়া উড়ি আর কলকাকলির সুন্দর দৃশ্য চোখে পড়ে। এক সময়ে বালিহাঁস,পানকৌড়ি,ডাহুক,কানাবক,মাছরাঙা,গাঙচিল সহ অসংখ্য পাখির আগমন ঘটত এখানে।
তবে স্থানীয়দের মতে,বর্তমানে গাঙচিল আর বক পাখি ছাড়া আর কোনো প্রজাতির পাখি তেমন চোখে পড়েনা। এক প্রবীন মুরব্বী জানান, শীতের শুরুতেই অতিথি পাখি আসতো। ধানী বিলে এসব পাখির বিচরন বেশীভাগই চোখে পড়তো। বিকেল বেলায় পাখির কিচিরমিচির শব্দে এখানকার গ্রামগুলো মুখরিত হয়ে ওঠতো। কিন্তু এখন সেই দৃশ্য আর নেই। জানা যায়,সাধারণত শীত প্রধান দেশ সাইবেরিয়া, চীন, মঙ্গোলিয়াসহ আরো অনেক দেশ থেকে এখানে আসে এসব অতিথি পাখি। পাখিগুলো এ দেশের প্রকৃতিকে নিরাপদ ভেবে শীত মৌসুমে এসে ভিড় জমায়।
পাঠকের মতামত: